- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে শান্তির ঘোষণা থাকলেও, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি ড্রোন, আর্টিলারি ও বিস্ফোরণের শব্দ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গভীর আঘাত সৃষ্টি করছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে খানের ইউনিস শহরের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন, জানায় সংবাদদাতারা।
এদিকে, হামাস ইসরায়েলের কাছে আরেকটি মৃত বন্দির দেহ হস্তান্তর করেছে, তবে ইসরায়েল দাবি করছে যে, হস্তান্তরিত মৃতদেহগুলো ১৩টি জীবিত বন্দির মধ্যে কোনো একজনেরও নয়। এই পরিস্থিতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যিনি আগামী সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির হামাসকে দোষারোপ করেছেন, বলছেন যে তারা "খেলা" চালাচ্ছে এবং ইসরায়েলকে তাদের পুরোপুরি ধ্বংস করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা এখন আর হামাসের থেকে 'মূল্য আদায়' করার কথা ভাবছি না, বরং তাদের অস্তিত্বকেই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে হবে।”
গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি একটি এলাকা থেকে ৭২টি মৃতদেহ খুঁজে বের করা হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে এই মৃতদেহগুলো এখানে সমাহিত করা হয়েছিল, তবে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি মৃতদেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য মৃতদেহগুলি নাম্বারিং করা হয়েছে এবং সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চূড়ান্ত সনাক্তকরণের জন্য।
আরেকটি ঘটনায়, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরের কাছে শুক্বা গ্রামে দুইটি ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ধ্বংস করেছে। এই ধ্বংসকাজের সময় ইসরায়েলি বাহিনী সংবাদকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে, জানান স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
গাজায় আল-আকসা মার্টির্স হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার ৭০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত, যারা জরুরি চিকিৎসা পেতে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য চলে যাওয়ার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি, যাতে গাজার মধ্যে মহামারী সংক্রমণ রোধ করা যায়।”
বিএনপি এবং জামায়াত উভয়ই ইসরায়েলের আক্রমণ এবং তার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিএনপি দাবি করছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের দায়িত্ব থাকবে।
**বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যামি আল-আরিয়ান জানান, ফিলিস্তিনিরা এখনো প্রতিশ্রুত ত্রাণ সাহায্য পাচ্ছে না এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবে বিচার করছে না। তিনি বলেন, "গাজার বাসিন্দারা এখনো খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছেন, যা ইসরায়েলি নীতি হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।"