- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পরোক্ষ আলোচনা ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারে অস্বীকৃতির কারণে স্থগিত হয়ে গেছে। শনিবার (১২ জুলাই) আলোচনায় অংশ নেওয়া দুটি ফিলিস্তিনি সূত্র বার্তা সংস্থা।
গত রবিবার থেকে কাতারে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ২১ মাস ধরে চলা এই সংঘাত সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করেছিলেন। উভয় পক্ষই জানিয়েছিল যে একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো গেলে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে বন্দী থাকা ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারে ইসরায়েলের অস্বীকৃতিই আলোচনায় অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। সূত্রটি জানায়, ‘দোহায় আলোচনা একটি বড় ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। কারণ ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা আসলে সেনা পুনর্বিন্যাস ও নতুন করে অবস্থান নেওয়ার একটি মানচিত্র, প্রকৃত প্রত্যাহারের মানচিত্র নয়।’
হামাস শুরু থেকেই গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার দাবি করে আসছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি সূত্রটি অভিযোগ করে, ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আলোচনায় যে মানচিত্র উপস্থাপন করেছে, সেখানে গাজার ৪০ শতাংশের বেশি অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার প্রস্তাব রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, ‘হামাসের প্রতিনিধিদল ইসরায়েলের এই মানচিত্র গ্রহণ করবে না, কারণ এটি কার্যত গাজা উপত্যকার প্রায় অর্ধেক অংশ পুনরায় দখলকে বৈধতা দেয় এবং গাজাকে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে পরিণত করে, যেখানে চলাচল ও যাতায়াতের কোনো স্বাধীনতা থাকবে না।’
মধ্যস্থতাকারীরা উভয় পক্ষকে আলোচনা স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ দোহায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্য একজন ফিলিস্তিনি সূত্র বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজায় আরও ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়ে ‘কিছু অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে তারা অভিযোগ করেন যে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই এবং তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত ও বিলম্বিত করছে।