- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
গাজার মধ্যে চলমান সিজফায়ারের মধ্যেও ইসরায়েলি হামলায় তিন প্যালেস্টাইন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, আজ (শুক্রবার) পূর্ব বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে, নাসের হাসপাতাল থেকে জানা যায়, দুটি পৃথক ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই প্যালেস্টাইন নিহত হন, একজন ড্রোন হামলায়, এবং অন্যজন ইসরায়েলি সেনার হাতে আহত হয়ে কয়েকদিন পর মারা যান।
একই দিনে, জাতিসংঘের প্যালেস্টাইন শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (UNRWA) জানিয়েছে, তাদের কাছে গাজার বাসিন্দাদের জন্য তিন মাসের খাদ্য মজুদ রয়েছে, তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধার কারণে তারা এই সাহায্য সরবরাহ করতে পারছে না। UNRWA তাদের এক টুইটে জানায়, “এখনও গাজার দিকে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে সহায়তা চলতে দেওয়া হয়নি।”
এদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা এবং মিশরের রাফা সীমান্তে মানুষের চলাচলের জন্য সীমান্ত খোলার প্রস্তুতি চলছে, তবে এর সুনির্দিষ্ট তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।
গাজার চিকিৎসা পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, সেসফায়ার কার্যকর হলেও স্বাস্থ্যসেবার কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে, জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবিক সাহায্য সংস্থা গাজার বাসিন্দাদের সাহায্য পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে চেষ্টা করছে।
তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলের জানিয়েছেন, তারা গাজায় শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, তুর্কি সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণে প্রস্তুত এবং গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে একত্রিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
ইতালির বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো গাজায় শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং ফাইভ-স্টার মুভমেন্ট (M5S) ইতালির সরকারের পরিকল্পনার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে।
এদিকে, মিশরের রাফা সীমান্তে মানবিক সহায়তাযুক্ত ট্রাকগুলি গাজার দিকে প্রবাহিত হচ্ছে, এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) গাজায় ময়দা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করতে শুরু করেছে। তবে, UNRWA এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি তাদের সাহায্য পাঠানোর জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে।
গাজার এই মানবিক সঙ্কটকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে সেখানে থাকা লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়।