Tuesday, October 14, 2025

গাজায় হামলার মধ্যেই ইসরায়েলের ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা, বাড়ছে বেসামরিক মৃত্যুর মিছিল


ছবি: পুষ্টিহীনতায় শিশুর মৃত্যু, গাজায় দুর্ভিক্ষ আরও তীব্র হচ্ছে (সংগৃহীত/আল জাজিরা)

গাজা ইসরায়েল গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে, যার উদ্দেশ্য বলে দাবি করা হচ্ছে “মানবিক সহায়তা প্রদান”। তবে এই বিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটির কিছু অংশে সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে। এসব এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং নাগরিকদের চলাচলের সুযোগ দিতেই এই বিরতি কার্যকর করা হচ্ছে বলে দাবি করছে তেলআভিভ।

তবে বাস্তবতা ভয়াবহ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগের দিন, শনিবার, প্রাণ গেছে আরও অন্তত ৭১ জনের, যাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন খাদ্য সহায়তা সংগ্রহে বের হওয়া বেসামরিক নাগরিক।

মানবিক সংকটও তীব্রতর হচ্ছে। শুধুমাত্র রোববার আরও ৫ জন ফিলিস্তিনি ক্ষুধায় মারা গেছেন। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।

স্থানীয়রা এবং ত্রাণকর্মীরা ইসরায়েলের ঘোষিত এই 'কৌশলগত বিরতি' নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। “এখানে কোনো প্রকৃত বিরতি নেই, কোনো নিরাপদ অঞ্চল নেই। কিছু সময়ের জন্য গোলাবর্ষণ বন্ধ থাকলেও দুর্ভোগের বিরতি নেই,” বলেন গাজাভিত্তিক এক মানবিক সংস্থার প্রতিনিধি।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও অবাধ ত্রাণ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, গাজার জনগণ এখন ধ্বংস, অনাহার ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করছে এবং অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনও দৃশ্যত অচলাবস্থায়। আর ততক্ষণে গাজার অসহায় মানুষরা প্রতিদিনের মতোই মৃত্যুর মুখে দিন কাটাচ্ছেন — ‘বিরতি’র ঘোষণা তাদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন