- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মধ্যে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষুধাজনিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে, যার মধ্যে ১০৩ জন শিশু। মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে, খাদ্য সংকট তীব্রতর হওয়ায় পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আল জাজিরার পাঁচ সাংবাদিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আনাস আল-শরিফ, যিনি গাজার ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ পরিবেশন করছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। লন্ডন, বার্লিন, তিউনিস ও রামাল্লাহসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মানুষ সাংবাদিকদের ওপর হামলার অবসান ও দায়ীদের জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ইসরায়েলি অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইউভাল আব্রাহামের এক দাবি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগে “লিগিটিমাইজেশন সেল” নামে বিশেষ একটি টিম গঠন করা হয়। এর কাজ ছিল গাজার ওপর চালানো সামরিক হামলাকে যৌক্তিক প্রমাণের উপায় খোঁজা, বিশেষ করে কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হামাস সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করে তাদের হত্যার বৈধতা দেখানো। আব্রাহামের মতে, টানা কয়েকদিন এমন প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করেও কিছু পাওয়া যায়নি, তবুও সাংবাদিক হত্যার ঘটনা আড়াল করতে তাদের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় সাংবাদিকদের হত্যা একটি উদ্বেগজনক ধারা, যা স্বাধীন সংবাদ পরিবেশনা দমনে ইচ্ছাকৃত কৌশলের অংশ হতে পারে।