- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
গাজা যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নতুন ২০ দফা প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একে “সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম মহান দিন” বলে আখ্যায়িত করেন এবং দাবি করেন যে এটি মধ্যপ্রাচ্যে “চিরস্থায়ী শান্তি” বয়ে আনতে পারে।
এই পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, সীমিত ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় এবং গাজায় একটি স্থানীয় টেকনোক্র্যাট প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রশাসনকে পরিচালনা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক “শান্তি বোর্ড”, যেখানে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সম্পৃক্ততাও উল্লেখ করা হয়েছে।
হামাসের যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের শর্তে ক্ষমা এবং বাকি সদস্যদের নির্বাসনের সুযোগ রাখা হয়েছে পরিকল্পনায়। পাশাপাশি, গাজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না দিয়ে শুধু “ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পরিকল্পনাটি সমর্থন করলেও তার জোটের কট্টরপন্থি অংশ ইতোমধ্যে আপত্তি তুলেছে। অন্যদিকে হামাস এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে সংগঠনের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হলে এ পরিকল্পনা তারা গ্রহণ করবে না।
আন্তর্জাতিক মহল পরিকল্পনাটিকে স্বাগত জানালেও সমালোচকরা বলছেন, এটি মূলত আলোচনার একটি কাঠামো মাত্র, যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। ফলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে।
প্রস্তাব ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই গাজা শহরে ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রস্তাব যদি ব্যর্থ হয়, তবে সংঘাত আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠতে পারে।