Tuesday, October 14, 2025

গাজা যুদ্ধ নিয়ে কায়রোতে হামাস-ইসরায়েল বৈঠক, দ্রুত সমাধানের আহ্বান ট্রাম্পের


ছবিঃ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ঢল (সংগৃহীত । আল জাজিরা)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN 

প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের অবসানে নতুন আলোচনার সূচনা হলো মিসরের কায়রোতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনাকারী পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “যত দ্রুত সম্ভব সমাধান খুঁজে বের করুন।”

হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালিল আল-হাইয়া। সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলের হামলায় হত্যাচেষ্টার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন তিনি। অপরদিকে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আছেন নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পর্যায়ের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

আলোচনায় মূলত যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এর মধ্যেই ইসরায়েল গাজায় নতুন হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ হামলাটি গাজা সিটির তাল আল-হাওয়া এলাকার আল-রুম স্কুলের কাছে ঘটে, যেখানে কয়েকজন শিশু আহত হয়।

জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, দুই বছরের যুদ্ধে গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ধ্বংসের মুখে, আর শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাদের অন্তত ১,১৫২ সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪২ শতাংশের বয়স ছিল ২১ বছরের নিচে।

কায়রোর আলোচনায় হামাস ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, শাসনব্যবস্থা ও নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে নিশ্চয়তা চাইবে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলের মূল মনোযোগ থাকবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দিকে।

এদিকে ইউরোপজুড়ে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে ইসরায়েলের গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে সবচেয়ে বড় সমাবেশে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেয়।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায় এড়াতে কোনো সমাধান দেয় না। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রমে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এ আলোচনায় সাফল্য চাইছেন, যা আগের ব্যর্থ উদ্যোগগুলোর থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন করে তুলতে পারে। তবে বাস্তবে পক্ষগুলোর কঠিন অবস্থান অতিক্রম করে শান্তির পথে এগোনো কতটা সম্ভব, সেটাই এখন প্রশ্ন।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন