Tuesday, October 14, 2025

এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রুশ যুদ্ধবিমান, ন্যাটোর জরুরি পরামর্শ বৈঠক


ছবিঃ রুশের যুদ্ধবিমান (সংগৃহীত । বিবিসি)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | PNN

এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান প্রবেশ করার ঘটনায় উত্তেজনা বেড়েছে। দেশটির সরকার জানায়, শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গালফ অব ফিনল্যান্ডের আকাশপথে অনুমতি ছাড়াই ১২ মিনিট অবস্থান করে রুশ বিমানগুলো।

ঘটনার পরপরই ইতালি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন তাদের যুদ্ধবিমান পাঠায় ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে। ন্যাটোর এক মুখপাত্র বলেন, “এটি রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত এবং ন্যাটোর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতার প্রমাণ।”

এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিখাল বলেন, “ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া হতে হবে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। আমরা মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করাকে অপরিহার্য মনে করি, যাতে পরিস্থিতি সম্পর্কে যৌথ ধারণা গড়ে তোলা যায় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা যায়।”

তিনি জানান, এ বছর এটি রাশিয়ার পঞ্চম আকাশসীমা লঙ্ঘন। রুশ যুদ্ধবিমানগুলোর কোনো ফ্লাইট প্ল্যান ছিল না, ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল এবং এস্তোনিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি।

মস্কো অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, বিমানগুলো নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে ছিল এবং আন্তর্জাতিক আকাশসীমার নিয়ম মেনেই উড়েছে। তারা আরও জানায়, বিমানগুলো নিরপেক্ষ বাল্টিক সাগরের আকাশে এস্তোনিয়ার ভাইনডলু দ্বীপ থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে ছিল।

এস্তোনিয়া ন্যাটো চুক্তির আর্টিকেল ৪ এর আওতায় মিত্রদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে চলতি মাসেই পোল্যান্ড একই অনুচ্ছেদের অধীনে বৈঠক ডেকেছিল, যখন রুশ ড্রোন তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল।

ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটা আমার মোটেও ভালো লাগছে না। এ ধরনের ঘটনা বড় ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে।”

সম্প্রতি পোল্যান্ড ও রোমানিয়াও রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় ন্যাটো ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা ও যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ডেনমার্কের যুদ্ধবিমান এখন নিয়মিত টহলে অংশ নিচ্ছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন