- ২০ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবলের বাছাইপর্বে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১-১ ড্র করার পর চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় পরাজয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। দুই ম্যাচে মোট ছয় গোল হজম করে কোনো জয়ের দেখা না পাওয়ায় নারী ফুটবলে নতুন করে পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা সামনে এসেছে।
জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ শুরুতে এগিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয় থেকে বঞ্চিত হয়। খেলার সময় খেলোয়াড়দের ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা এবং ডিফেন্সে সমন্বয়ের ঘাটতি চোখে পড়ে। ইউটিউবের দর্শকরাও মন্তব্য করেছেন, ম্যাচজুড়ে দলটি যে কোনো সময় গোল হজম করতে পারে—শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। শেষ মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারার কারণে মূল্য দিতে হয়েছে পয়েন্ট হারিয়ে।
এরপর চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে জয় পেলে মূল পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হতো। কিন্তু ৫-০ গোলের করুণ পরাজয়ে সব আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যাচে দলের আত্মসমর্পণমূলক খেলা ও ডিফেন্সের দুর্বলতা ফুটে ওঠে বারবার। যদিও চাইনিজ তাইপে তুলনামূলক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবুও বাংলাদেশের এমন ভঙ্গুর রক্ষণভাগ ও অনুৎসাহিত মনোভাব সমর্থকদের হতাশ করেছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল দলের প্রস্তুতির জন্য তাদের আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন, যাতে তারা বাছাইপর্বে ভালো পারফরম্যান্স করে চীনে অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে জায়গা করে নিতে পারে। কিন্তু মাঠের বাস্তবতায় তার সে প্রত্যাশা ব্যর্থ হয়েছে।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলের এই ব্যর্থতা শুধু খেলোয়াড়দের নয়, বরং গোটা প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার ঘাটতিরও প্রতিফলন। ভবিষ্যতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক আসরে টিকে থাকতে হলে দলের মানসিক দৃঢ়তা, কৌশলগত প্রশিক্ষণ এবং ফিনিশিংয়ের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবলে এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে পুনর্মূল্যায়নের দাবি তুলেছে। এখন প্রয়োজন সুসংগঠিত প্রস্তুতি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের উদ্যোগ।