- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | PNN
দক্ষিণ লেবাননের আইন আল-হিলওয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলের একটি বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের পাশাপাশি অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এলাকাটি হামাসের একটি প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং সেখান থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছিল। তবে হামাস এই অভিযোগ “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়—ভিড়াক্রান্ত শরণার্থী শিবিরের সরু রাস্তায় দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটছে অ্যাম্বুলেন্স। আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ দেখা যায় হামলার পরপরই। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলাটি একটি মসজিদের বাইরের অংশে আঘাত হানে, যে এলাকা রাতে সাধারণত মানুষের উপস্থিতিতে ব্যস্ত থাকে।
হামাস জানায়, শিবিরের ভেতর তাদের কোনো সামরিক ঘাঁটি নেই এবং লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি খোলা ক্রীড়াক্ষেত্র।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার আগে বেসামরিক ক্ষতি কমাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী অস্ত্র, আকাশ নজরদারি এবং অতিরিক্ত গোয়েন্দা উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর দুই পক্ষের উত্তেজনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে লেবানন সীমান্ত পর্যন্ত। ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহ ওই ঘটনার পরদিন ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায়। এরপর থেকেই ইসরায়েল লেবাননে প্রায় নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে—মূলত হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে, তবে মাঝে মাঝে হামাসকেও টার্গেট করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চলা তীব্র যুদ্ধের ফলে লেবাননে প্রায় ৪,০০০ মানুষ নিহত এবং ১২ লাখের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়। ইসরায়েলও জানায়, সংঘাতে তাদের ৮০ জনের বেশি সেনা এবং ৪৭ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।