- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | PNN
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (EUAA) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদন কমেছে ২৩ শতাংশ। দীর্ঘ এক দশক ধরে আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে থাকা সিরীয় নাগরিকদের আবেদন হঠাৎ করেই ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরীয়দের অভিবাসন ধারা পাল্টে যায়। অক্টোবর ২০২৪-এ যেখানে প্রায় ১৬ হাজার সিরীয় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন, সেখানে ২০২৫ সালের মে মাসে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৩ হাজার ১০০-তে—যা সাত মাসে পাঁচগুণ হ্রাস। ফলে মে মাসে সিরীয়রা নেমে এসেছে চতুর্থ স্থানে।
EUAA বলছে, এ ধরনের পতন সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল কোভিড–১৯ মহামারির শুরুর দিকে। তবে এবারের পরিবর্তন কোনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিগত কারণে ঘটেনি।
আসাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পুনর্গঠনের অঙ্গীকার করেছে। যদিও দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েদায় সংঘর্ষ ও ইসরায়েলি হামলার মতো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, তারপরও অনেক সিরীয় দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
সিরীয়দের জায়গা দখল করেছে ভেনিজুয়েলার নাগরিকরা। প্রতিবেদন বলছে, ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তিত অভিবাসন নীতি ভেনিজুয়েলানদের ইউরোপমুখী করে তুলেছে। ফলে বর্তমানে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সর্বাধিক আশ্রয়প্রার্থী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।
একসময় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লাখো সিরীয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছিল। তবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় অনেকেই ধীরে ধীরে শেকড়ের টানে স্বদেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।