- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক করবেন, যার মূল উদ্দেশ্য ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা। এই ঘোষণার পর ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ আলোচনায় তারা বাদ পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়ার হামলা অব্যাহত থাকায় পুতিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আন্তরিক নন। সোমবার রাতে জনগণকে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “রাশিয়ানরা যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতির জন্য কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। বরং তারা নতুন হামলার পরিকল্পনার প্রমাণস্বরূপ সেনা পুনর্বিন্যাস করছে।”
ইউরোপীয় নেতারাও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করেছেন যে, ইউক্রেনের ভূমি কোনো শর্ত ছাড়াই পরিবর্তনের বিষয় আলোচনার যোগ্য নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি প্রধান কায়া কালাস বলেন, “রাশিয়া পুরোপুরি এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কোনো ছাড় দেওয়ার আলোচনা হওয়া উচিত নয়।”
ইউরোপীয় দেশগুলো, যারা ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নামে সামরিক জোট গঠন করেছে, সতর্ক করেছেন যে “আন্তর্জাতিক সীমান্ত জোরপূর্বক পরিবর্তন করা যাবে না” এবং যদি রাশিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি না মেনে চলে, তাহলে আরও কঠোর অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ চাপানো উচিত।
রাশিয়ার এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, পুতিন এবং ট্রাম্প প্রথমে শুধুমাত্র অনুবাদক উপস্থিতিতে একান্ত বৈঠক করবেন। এরপর তারা প্রতিনিধি সভায় অংশ নেবেন এবং পরে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময়ই রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে ডোনেটস্ক অঞ্চলের ইয়াবলুনিভকা গ্রাম দখল করেছে। ৭ থেকে ১৩ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৫৩৫টি রাশিয়ান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইউক্রেন প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে।
এই বৈঠক এবং রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেন সংকট এবং আন্তর্জাতিক চাপ আরও জটিল রূপ নিচ্ছে।