- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাপ্রধান জেনারেল রুদজানি মাফওয়ানিয়া ইরান সফরকালে দেওয়া মন্তব্য নিয়ে নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিমধ্যেই টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
গত মঙ্গলবার তেহরানে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর-জেনারেল সাইয়্যেদ আবদুর রহিম মুসাভির সঙ্গে বৈঠকে মাফওয়ানিয়া দুই দেশের “সামরিক লক্ষ্য ও অভিন্ন অবস্থানের” কথা উল্লেখ করেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি এবং তেহরান টাইমস জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাপ্রধান ইরানের অতীতের আপারথেইড বিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের কথা স্মরণ করে বলেন, “এ সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধন তৈরি করেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইরান সবসময় “বিশ্বের নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়”। একই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলের গাজা ও পশ্চিম তীরে সাধারণ মানুষের ওপর হামলারও তীব্র নিন্দা জানান।
এ সফরের রাজনৈতিক তাৎপর্যের কথা উল্লেখ করে মাফওয়ানিয়া বলেন, “ইরানের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি সমর্থন জানাতে এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারত না।”
অন্যদিকে, ইরানের সেনাপ্রধান মুসাভি আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার প্রশংসা করেন এবং এটিকে ইরানের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন সময় সেনাপ্রধানের এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসা প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার রপ্তানি পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা দেশটির ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।