- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইরানের অবস্থান এখনো আগ্রাসী এবং যুদ্ধবিরতিতে তাদের অনাগ্রহ আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে। পশ্চিমা কূটনীতিকরা যখন যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে চাইছেন, তখন তেহরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে—“প্রতিরক্ষার স্বার্থে যা করণীয়, তাই করা হবে।”
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে শক্তির প্রকাশ ঘটাচ্ছে। এর ফলে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাল্টা জবাবেও থেমে নেই তেল আবিব। দুই দেশের মধ্যে টানা কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি ও আকাশ হামলা চলমান রয়েছে।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এলেও ইরান সেসবকে কার্যত উপেক্ষা করে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে আমরা কোনো আপস করব না। প্রতিরোধই আমাদের নীতি।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অনমনীয় অবস্থান কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। এমনকি তেল সরবরাহ ও বাণিজ্য রুটেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ উভয়ই তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অঞ্চলটিতে নতুন করে সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিতও দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হলে তা আন্তর্জাতিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে—এই আশঙ্কাও জোরালো হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ যুদ্ধবিরতির পক্ষে একতাবদ্ধ হলেও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের জায়গায় এখনো শান্তি অনুপস্থিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ এখন তেহরান এবং তাদের পরবর্তী অবস্থানের দিকে।
ছবিঃ আহমদ গারাবলি/এএফপি/গেটি ইমেজেস।(১৬ই জুন ২০২৫)