- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পদ্মশ্রী খেতাবপ্রাপ্ত বিতর্কিত সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দের বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। ওই নারী দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তাকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। একটি বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কার্তিক মহারাজ তার ওপর এই নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ।
কার্তিক মহারাজ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের সঙ্গে যুক্ত। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, "আমার সম্মানহানি করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।" চলতি বছর কার্তিক মহারাজ ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন।
এই অভিযোগ এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন রাজ্যটি আরেকটি ধর্ষণের ঘটনায় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার একটি আইন কলেজে এক ছাত্রী দুই সহপাঠী ও এক স্টাফের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগের বছর আর জি কর মেডিকেল কলেজে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে নাবগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কার্তিক মহারাজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি তাকে 'চানাক আদিবাসী আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়'-এ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে স্কুলের হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হয়। ওই নারীর অভিযোগ, "প্রায় প্রতিদিনই কার্তিক আমাকে স্কুল ভবনের পাঁচতলায় নিয়ে ধর্ষণ করতেন।"
ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, একবার তাকে পাঁচ দিনের জন্য আশ্রমে থাকতে বলেন কার্তিক মহারাজ এবং সেখানেও বহুবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয় এবং প্রতি মাসে টাকা পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কার্তিক এবং স্কুলের কয়েকজন কর্মী তাকে বহরমপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে জোর করে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যান বলেও অভিযোগ করেছেন ওই নারী। তিনি রাজি না হলে হুমকি দেওয়া হয় এবং দুই কর্মীর উপস্থিতিতে এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়।