Tuesday, October 14, 2025

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা: ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও ইসরায়েলের পাল্টা হামলার নির্দেশ


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই কাতারস্থ আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে – যা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি – ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

ট্রাম্প সোমবার তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন, “যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর। অনুগ্রহ করে এটি লঙ্ঘন করবেন না!”


মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও যুদ্ধবিরতি শুরুর খবর নিশ্চিত করে।


যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ও ইসরায়েলের পাল্টা নির্দেশ:


তবে, ইসরায়েল ইরানকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তেহরানে হামলার নির্দেশ দিয়েছে, যদিও ইরান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।


হ্যাঁ, ইরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় কাতারের রাজধানী দোহা এবং দেশের অন্যান্য অংশে পরপর অগ্নিশিখা ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।


একটি বিবৃতিতে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে যে, তাদের এই হামলা ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের “প্রকাশ্য সামরিক আগ্রাসন”-এর প্রতিক্রিয়া। তেহরান আরও জানায় যে, তারা আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে কারণ এটি “মার্কিন বিমান বাহিনীর কমান্ড সেন্টার এবং পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকান সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর বৃহত্তম কৌশলগত সম্পদ হিসেবে কাজ করে।”


কাতার জানিয়েছে, তারা ইরানের নিক্ষেপ করা ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৮টি সফলভাবে ভূপাতিত করেছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘটনায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং তার ঘোষণায় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করেন।


এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।



মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিয়ারশেবা শহরে একটি ভবনে ইরানের হামলার পর জরুরি ও উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। [আমির লেভি/গেটি ইমেজেস]

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন