Tuesday, October 14, 2025

কম্বোডিয়ায় থাই বিমান হামলা: সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে


ফাইল ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির পর থাইল্যান্ড যুদ্ধবিমান দিয়ে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে বোমা হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় দুই থাই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদন অনুসারে, থাই সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে, তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ান ব্যাটালিয়নে বোমা হামলা চালানোর পর অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে দেশে ফিরেছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর ছোড়া রকেটের আঘাতে দুই থাই বেসামরিক নিহত হওয়ার পরই থাই বাহিনী ফাইটার জেট মোতায়েন করে।

থাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ায় গুলিবর্ষণ করে সামরিক লক্ষ্যস্থল ধ্বংস করেছে। তারা আরও দাবি করেছে, কম্বোডিয়ার স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ড জোরপূর্বক দখলের প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, ভারী অস্ত্র ব্যবহার এবং বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে। কম্বোডিয়ার মন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডের এই পদক্ষেপকে "নৃশংস ও অবৈধ সামরিক আগ্রাসন" এবং "জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তারা আরও অভিযোগ করেছে, থাই যুদ্ধবিমান থেকে তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে দুটি বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এই থাই হামলাকে "সশস্ত্র আক্রমণ" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেছেন, কম্বোডিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের পক্ষে, কিন্তু এই সশস্ত্র আক্রমণের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানো ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্তলগ্ন ৮৬ গ্রাম থেকে অন্তত ৪০ হাজার থাই বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন