- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গতকাল সোমবার কারফিউয়ের আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শহরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এটি ঘটে একদিন আগের জেন-জি বিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর। এই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৪ জনে পৌঁছেছে।
কাঠমান্ডুর চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ছবিলাল রিজাল জানিয়েছেন, আজ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকবে। প্রথমে বানেশ্বর এলাকার কিছু অংশে কারফিউ জারি করা হলেও পরে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতল নিবাস, ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন লায়নচাওর, সিংহ দরবার, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বলুয়াটার ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
কারফিউ চলাকালে উল্লিখিত এলাকায় চলাফেরা, সমাবেশ, বিক্ষোভ বা ঘেরাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নাগরিকদের ঘরে থাকার এবং কারফিউ মানার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধের জন্য নেওয়া হয়েছে।
সরকার গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে। নেপালের আইন অনুসারে এসব মাধ্যম নিবন্ধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়নি। টিকটক, ভাইভার ও তিনটি প্ল্যাটফর্মের নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ায় সেগুলো বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে।
সোমবার বিক্ষোভের অগ্রভাগে জেন-জি ও তরুণদের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। তারা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশের জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের বিপরীতে বিক্ষোভকারীরা গাছের ডাল, বোতল ছুঁড়ে প্রতিরোধ করে। কিছু বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের পাশাপাশি সরকারের দুর্নীতিরও প্রতিবাদ জানায়। তারা দাবি করেন, সামাজিক মাধ্যম বন্ধ না করে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন।