- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | PNN
জর্জিয়ার সিঘনাঘি অঞ্চলে তুরস্কের একটি সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা সব ২০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াশার গুলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের বীর সহযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।” তিনি নিহত সেনাদের ইউনিফর্ম পরিহিত কিছু ছবিও প্রকাশ করেন।
বিমানটি মঙ্গলবার আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই জর্জিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করে রাডার থেকে হারিয়ে যায়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যার কিছু পর সেটি সিঘনাঘি মিউনিসিপ্যালিটির কাছে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলটি আজারবাইজান সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে।
জর্জিয়ার বেসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানায়, উড়োজাহাজটি কোনো বিপদ সংকেত পাঠায়নি। আজারবাইজানের কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর পরই আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল স্তম্ভ উঠছে এবং আশপাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে তুরস্ক ও জর্জিয়ার যৌথ তদন্তদল ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিনও সহায়তা করছে; সংস্থাটি এই সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের নির্মাতা।
এই দুর্ঘটনাকে ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে বড় সামরিক বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শহীদ সেনাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁদের পরিবারের পাশে আছি।”
আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাতার, ইরান, মিশর, ইতালি, কাজাখস্তানসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তুরস্কের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এক বিবৃতিতে বলেন, “তুরস্কের সেনাদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিদিন যে অবদান রাখছেন, তা অনন্য।”
সি-১৩০ হারকিউলিস চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট একটি টার্বোপ্রপ সামরিক পরিবহন বিমান, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। এটি সাধারণত সৈন্য, সামরিক সরঞ্জাম ও ত্রাণ পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।