- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও একই ধরনের কূটনৈতিক অবস্থানে রয়েছেন। আলাস্কায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের তিন সপ্তাহ পরে, উভয়ই ইউরোপকে আরও বেশি ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে আছে।
ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপের সময় বলেন, “ইউরোপকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে, যা যুদ্ধকে অর্থায়ন করছে।” তিনি আরও বলেন, ইউরোপকে চীনের ওপরও চাপ তৈরি করতে হবে যাতে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে। তবে ট্রাম্প নিজেই চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে রাজি নন, যা তার পদক্ষেপে দ্ব্যর্থহীন বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া ইউরোপের মধ্যে ফাটল তৈরি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুতিন চীনে সফরের সময় স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “রাশিয়া কখনও ইউরোপে হামলার পরিকল্পনা করেনি।” এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেত্রী উরসুলা ভন ডার লেইয়েন এর বিমান জিপিএস নেভিগেশন জ্যামিংয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা রাশিয়া প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনায় যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার ওপর আর্থিক চাপ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, ২৬টি দেশ সম্ভাব্য শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তবে এই নিরাপত্তা উদ্যোগের বাস্তবায়নে রাশিয়া এখনও প্রধান বাধা।
সাম্প্রতিক ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগের অগ্রগতিতে খুব কম পরিবর্তন দেখা গেলেও, ট্রাম্পের অবস্থান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি ইউরোপকে চাপ দিতে এবং রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যুদ্ধবিরতি আলোচনার সাফল্য মূলত রাশিয়ার অবস্থানের উপর নির্ভর করছে।