- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল থার্টিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাৎজ বলেন, "আমরা খামেনিকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা করার যথাযথ সুযোগ পাওয়া যায়নি।" কাৎজের দাবি, খামেনি তার ওপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন। এ কারণে তিনি মাটির অনেক গভীরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন এবং প্রথম দফায় ইরানের প্রভাবশালী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নেতাদের জায়গায় নিয়োগ পাওয়া সেনা কমান্ডারদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
তবে আল-জাজিরা জানিয়েছে যে যুদ্ধের সময় খামেনি কয়েকটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এবং তিনি তার জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে ইসরায়েলের দাবির কোনো নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। খামেনিকে হত্যা করলে সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করত, কারণ তিনি শুধু ইরানের ডি-ফ্যাক্টো প্রধানই নন, বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের কাছে একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় বলেছিলেন যে এই যুদ্ধ ইরানে সরকার পরিবর্তনের পথ তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনও লিখেছিলেন যে এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে "ইরানকে আবারও মহান করে তোলা" যাবে।
এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন খবর আসছে। মূলত ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—এই তিন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানো হয়। তবে গতকাল আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাড়িয়ে বলছে।
ছবিঃইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রি(রয়টার্স ফাইল ছবি)