- ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
হামাস রেড ক্রসের মাধ্যমে আরও ৪টি ইসরায়েলি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে, যার ফলে মুক্তি পাওয়া মৃতদেহের সংখ্যা এখন ৮টি। তবে, তিনটি মৃতদেহের পরিবার পরিচয় নিশ্চিত করেছে, আর চতুর্থ মৃতদেহটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, কোনো বন্দী’র সঙ্গে মেলে না। ইসরায়েল বলছে, মৃতদেহগুলোর উদ্ধার প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে গাজার পরিস্থিতি ও ধ্বংসাবশেষের কারণে এটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার, হামাসের পক্ষ থেকে আটটি মৃতদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু, ২০টি মৃতদেহ এখনও গাজার মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করতে আরও সময় লাগতে পারে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। এদিকে, গাজার সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে এবং ইসরায়েল সীমান্ত পারাপারে বাধা সৃষ্টি করেছে।
এ সহিত, গাজার পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য রিফিউজিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কড়াকড়ি অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল সীমান্তে রাফাহ ক্রসিংয়ের অবস্থা এখনও অনিশ্চিত, এবং রেড ক্রস, জাতিসংঘ সহ অন্যান্য মানবিক সংস্থা সাহায্য পাঠাতে পারছে না।
গাজার সরকারের মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওবতা বলেছেন, "গাজার জনগণ পানি ও অন্যান্য মৌলিক সেবা সংকটে রয়েছেন। সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করা জরুরি।" তিনি আরও বলেন, "গাজার মধ্যে ২৫০,০০০ টন বর্জ্য জমে গেছে, যা এক বিশাল পরিবেশগত বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে।"
গাজার মধ্যে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে, বিশেষ করে হামাসের পক্ষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। গাজার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ৫৫ মিলিয়ন টন মাটি ও ধ্বংসযজ্ঞ রয়েছে, যা উদ্ধার অভিযানে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।
এদিকে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সীমান্ত বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে, তবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বর্তমানে গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে, এবং কয়েকটি এলাকায় সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কগুলো গুলি চালিয়েছে।
এই সমস্ত ঘটনাবলী আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।