- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু হওয়া হামাস নেতারা সরাসরি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে সংঘটিত হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং পরবর্তী গাজা যুদ্ধ পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন।
অন্যদিকে, কাতার সরকার এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে "ক cowardly হামলা" বলে অভিহিত করেছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও প্রথার নগ্ন লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, "এই অপরাধমূলক আগ্রাসন কাতারের নাগরিক ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।"
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও হামলার নিন্দা জানিয়ে একে কাতারের সার্বভৌমত্বের "স্পষ্ট লঙ্ঘন" বলে মন্তব্য করেছেন।
২০১২ সাল থেকে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপিত আছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনায় কাতার গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সামরিক ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত হওয়ায় এ হামলা কৌশলগত দিক থেকেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, "এটি সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের স্বাধীন সামরিক অভিযান। এর জন্য কেবলমাত্র ইসরায়েল দায়ী।"
ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, হামলার লক্ষ্য ছিলেন হামাসের প্রধান আলোচক ও নির্বাসিত গাজা নেতা খালিল আল-হাইয়া এবং পশ্চিম তীরের নির্বাসিত নেতা জাহের জাবারিন। তিনি আরও বলেন, "আমরা হামলার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। এ অভিযানে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্বের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে।"
এর আগে সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ সতর্ক করে বলেছিলেন, বিদেশে থাকা হামাস নেতারা "ধ্বংসের মুখে" পড়বেন, যদি তারা বন্দিদের মুক্তি না দেন এবং অস্ত্র না ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ চালায়। ওই ঘটনায় প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৬০৫ জন নিহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি