- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আসিফ মাহমুদ | ঢাকা:
সহকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগের খবর প্রচার করছিলেন মাসরি। অথচ নিজেই একটি তাঁবুতে বসবাস করতেন এবং প্রতিদিন পরিবারের জন্য খাবার জোগাড়ে সংগ্রাম করতেন।
প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করা মাসরি ছিলেন সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক। সহকর্মীদের মতে, ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পেশাদারিত্ব গাজার সংবাদকর্মীদের কাছে তাকে বিশেষভাবে প্রিয় ও অনুপ্রেরণাদায়ী করে তুলেছিল।
নিহতের ভাই এজেলদিন আল-মাসরি রয়টার্সকে বলেন, “হুসাম কেবল একজন সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের পরিবারের ভরসা। নিজের জীবন বাজি রেখে সত্য তুলে ধরেছেন তিনি।”
রয়টার্সের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, হুসাম আল-মাসরির মৃত্যু বিশ্ব সাংবাদিকতা অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
গাজার চলমান সংঘাতে এর আগেও বহু সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। তবে হুসাম আল-মাসরির মৃত্যু বিশ্বজুড়ে সংবাদকর্মীদের জন্য নতুন করে ঝুঁকির ভয়াবহতা তুলে ধরল।