- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
সোমবার রামাল্লায় হাজারো ফিলিস্তিনি জড়ো হয়ে অপেক্ষা করছিলেন আনন্দঘন এক খবর শোনার জন্য প্রায় দুই হাজার রাজনৈতিক বন্দী ও নিখোঁজ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাচ্ছেন। এই ঐতিহাসিক বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ৯৬ জন রাজনৈতিক বন্দীকে বরণ করে নেওয়া হয়, পাশাপাশি গাজার যুদ্ধকালীন বন্দীদেরও ফেরত আনা হয়। চুক্তির আওতায় গাজা থেকে মুক্তি পেয়েছে ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জন মৃত ইসরায়েলি বন্দী।
এছাড়া ২৫০ জন ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দী মুক্তি পাচ্ছেন, যাদের মধ্যে ১৫৪ জনকে তৃতীয় দেশে নির্বাসিত করা হবে একটি সিদ্ধান্ত যা তাঁদের পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক হলেও রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের অধিকাংশই পশ্চিম তীরের বাসিন্দা এবং হামাসের সদস্য। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, ইসরায়েল অতীতে যেমন করেছে, তেমনভাবে এই মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের পুনরায় গ্রেপ্তার করতে পারে।
এই বিনিময় চুক্তি বহু ফিলিস্তিনি পরিবারের কাছে আশার আলো হয়ে এসেছে, কারণ অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে ফিরে পেয়েছেন। তবুও, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করেন এটি কেবল সাময়িক স্বস্তি, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান নয়।
উল্লাসের এই মুহূর্তেও আনন্দ প্রকাশে বাধা রয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের কোনো ধরনের উৎসব বা জাতীয় পতাকা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা এই মুক্তির আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে গাজার যুদ্ধে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি গুম হয়েছেন, যাদের অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বন্দী বিনিময়টি নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের মনে রয়ে গেছে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কারণ প্রকৃত শান্তির জন্য শুধু বন্দী বিনিময় নয়, ন্যায়বিচার ও স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানই একমাত্র পথ।