২০১১ সালের পর আবারও ল্যুভর মিউজিয়ামে চুরি, কড়া নজরদারিতে তদন্ত শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | PNN: ২০ অক্টোবর ২০২৫ 

রবিবার সকালে বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় ল্যুভর মিউজিয়ামে এক দুঃসাহসী চুরি সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকালেই একদল চোর আধা-দিনের মধ্যে মিউজিয়ামের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মূল্যবান গহনা চুরি করে নিয়ে যায়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, চোরেরা একটি বাস্কেট লিফট ব্যবহার করে মিউজিয়ামের জানালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা ডিসপ্লে কেসগুলো ভেঙে এবং গহনাগুলি তুলে নিয়ে যায়। ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী লরঁত নু‌নেজ এবং মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ উভয়ই এসব গহনাকে "অমূল্য" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

চুরির সময় মিউজিয়ামে পর্যটকরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর মিউজিয়াম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং পুলিশ মিউজিয়ামের গেট বন্ধ করে পর্যটকদের নিরাপদভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে। মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী রাচিদা দাতি ঘটনার সময় এক্স প্ল্যাটফর্মে বলেন, “আজ সকালে ল্যুভর মিউজিয়ামে একটি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এটি পেশাদারদের কাজ এবং মাত্র চার মিনিটের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে, কোনো সহিংসতা ছাড়াই।”

অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী লরঁত নু‌নেজ আরও বলেন, চোরেরা একটি ডিস্ক কাটার ব্যবহার করে জানালা কেটেছে এবং পুরো চুরিটি সাত মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এটি একটি দলীয় পরিকল্পনা করা অপারেশন ছিল। চোরেরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।

মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চুরির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা উল্লেখ করেছেন, "এই গহনাগুলির বাজারমূল্য ছাড়াও, এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অতুলনীয়।"

ল্যুভর মিউজিয়ামে নিরাপত্তা অত্যন্ত কঠোর। মোনা লিসা ছবিটি বুলেটপ্রুফ কাচের মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং উচ্চ প্রযুক্তির ডিসপ্লে সিস্টেম মিউজিয়ামের সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। এর আগে ২০১১ সালে মোনা লিসা চুরি হয়েছিল, যা পরে দুই বছর পর ফ্লোরেন্সে উদ্ধার করা হয়।

ল্যুভর মিউজিয়াম বিশ্বের সবচেয়ে দর্শনীয় মিউজিয়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০ দর্শক আসে এবং ৩৩,০০০টিরও বেশি শিল্পকর্ম, প্রাচীন সভ্যতার মূর্তি ও ইউরোপীয় মাস্টারপিস সংরক্ষিত রয়েছে।